শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে একটি শ্রমিক কলোনীর ২২ কক্ষ ভস্মিভুত হয়েছে। আগুনে কক্ষে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, জমির দলিল ও সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী কলোনী মালিকের। এ ঘটনায় ওই শ্রমিক কলোনীর ১৬টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। তবে মহাসড়কে অবরোধ থাকায় ফায়ারসার্ভিস ঘটনাস্থলে যেতে না পারায় এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) আশুলিয়ার কলতাসূতি বাড়ল এলাকায় ওই কলোনীতে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ল গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মালিকানাধীন কলোনীতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিক কলোনী ভাড়াটিয়া সুমন, আফজাল, পাপিয়া, আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্যরা জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওই কলোনীর দক্ষিণ-পূর্ব কর্ণারের একটি কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যই আগুন সমস্ত কলোনীতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, টিভি, ফ্রিজ, জমির দলিল সহ ২২ টি কক্ষে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ারসার্ভিসে খবর দিলেও তারা আসতে পারেনি মহাসড়ক অবরোধের কারণে। পরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি তাই এত বড় ক্ষতি হয়েছে। সরকার ও বিত্তবান্দের কাছে সহযোগীতা কামনা করেন তারা।
বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, তার কক্ষে থাকা নগদ চার লাখ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণ, জমির দলিল এবং ফার্নিচারসহ সব পুড়ে গেছে। এছাড়া তার মোট ২২ টি কক্ষ এবং কক্ষে থাকা সমস্ত কিছু পুড়ে গেছে। সবগুলা কক্ষেই ভাড়াটিয়া ছিল। ভাড়াটিয়া কক্ষগুলোতেও অনেক মালামাল ছিল সেগুলা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অনেকে কারখানায় থাকার কারণে আসতে পারেনি। অগ্নিকান্ডে তার এক কোটি টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনায় তিনি সহ ১৬ পরিবার নি:স্ব হয়ে গেছে।
এব্যাপারে ডিইপিজেড ফায়ারসার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী জানান, সেদিন মহাসড়কে অবরোধ থাকায় আমরা ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। তবে কাশিমপুরের সারাবো ফায়ারসার্ভিস সেখানে যেতে বের হয়েছিল।